উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চলমান বিধিনিষেধ শেষে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। তবে সড়ক পথে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক গাড়ি চলবে। খুলবে দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে। সরকারি-বেসরকরি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
আজ রোববার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন:- "১০ আগস্টের পর থেকে চলমান বিধি নিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। ১১ আগস্ট থেকে এই কঠোর বিধিনিষেধ আর থাকবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। কি পর্যায়ে শিথিল করা হবে তা আজ বা কালকের মধ্যে জানানো যাবে।"
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "গতদিন সভায় যেটা আলোচনা হয়েছে সেখানে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। ১১ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করার সিদ্ধান্ত। যদিও শনাক্তের হার কমছে কিন্তু মৃত্যুর হার দুইশ’র ওপরে আছে। সে বিষয়ে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। আগামীতে কী পর্যায়ে শিথিল করবো সে বিষয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পাব। সেটা আজ বা কাল জানাতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, "যেহেতু দোকানপাট খুলতে হবে- সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকে আমাদের জোর থাকবে। গতকাল থেকে গণটিকা চালু করেছি, এটি ১২ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমরা চাইব সবাই যেন মাস্ক পরে। আমরা টিকা কার্যক্রমের মধ্যে যারা দোকানদার, যাদের বাইরে যেতে হয়, ইমাম-মুয়াজ্জিন, ড্রাইভার-হেল্পারদের প্রায়োরিটি দিয়েছি। যাদের বাইরে আসতে হয় মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। ধাপে ধাপে আস্তে আস্তে সীমিত পরিসরে শিথিল করার চিন্তা আছে।"
ফরহাদ হোসেন বলেন, "আজকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আজ বা কাল সকালে হয়তো প্রজ্ঞাপন দিতে পারব। কতটুকু শিথিল তা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর জানাতে পারব। আমাদের পরামর্শ ধাপে ধাপে। কোনটি কখন খোলা হবে, কতটুকু পরিসরে খোলা হবে সেটা দেখতে হবে। তবে কঠোরভাবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন হয় সেদিকে কঠোর ব্যবস্থা থাকবে। যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারে"’
তিনি আরও বলেন, "অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ও নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। সেটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পেলে জানা যাবে।"